গত দশ দিন ধরে রাজস্থান থেকে এসে বিজেপির প্রচার করলছেন মন্ত্রীরা। রাজস্থানের শিক্ষা মন্ত্রী কালিচরন সর্রাফ এবং যোধপুর, সিকর, রতন গড্, ফুলের, সরদারশহর, ধোদ ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানের বিধায়েকেরা এসে কলকাতা এবং আশেপাশে বিজেপ প্রার্থী দের পক্ষে প্রচার করলেন।
সর্রাফ এবং কয়েক যান বিধায়েকেরা রাজস্থান ফিরে গিয়েছেন এবং এখন এসেছেন রাজস্থান সংখ্যা লঘু কমিশনের সভাপতি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী ইউনুস খান. তিনি আজকে অনেক স্থানে ঘুরে কলকাতা উত্তর পূর্বের প্রত্যাশী রাহুল সিনহার পক্ষে প্রচার করলেন। আজকে বিকেল ৫ তার সময় কৃষ্ণা সিনেমার সামনে তিনি প্রকাশ্যে জনসভা করবেন। প্রাক্তন কেন্দ্রিয মন্ত্রী সাহ্ নবাজ খান এই জনসভার মুখ্য বক্তা হবেন। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ও এই সভায় উপস্থিত থাকবেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি একটা সর্ব ভারতীয় দল কোনো প্রাদেশিক দল নয়. সেই জন্য রাজস্থান ছাড়া বিহার, ঝারখন্ড, উডীসা ইত্যাদি বিভিন্ন স্থান থেকে রাজনৈতিক কর্মীরা এসে বিজেপি প্রাত্যাসী দের পক্ষে প্রচার করছেন। আসানসোলে নির্বাচন শেষ করে ওই খানের প্রাত্যাসী বাবুল সুপ্রিয় যোগ করেছেন কোলকাতায়। কলকাতা উত্তর পূর্বে আজ তার রোড শো. বাপ্পি লাহীডি ও তিন দিন ধরে ক্রমাগত রূপে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শত্রুঘ্ন সিনহা, রবি শংকর প্রাসাদ ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সারির নেতারা ও পশ্চিম বঙ্গ ঘুরে গেলেন।
এই সবের উপরে নরেন্দ্র মোদির নিজের সভা গুলো। বিরাট জনসভায় তার বক্তব্য বাংলার মানুষকে উদ্বেলিত করে তুলেছে। লোকের চোখ খুলে গিয়েছে তাই দিদি এখান উল্টোপাল্টা বলছেন। কাল টিটাগড়ে তিনি মোদিকে প্রায় গালাগাল করে ফেলেন। নরেন্দ্র মোদী শুধু বিজেপির প্রধান মন্ত্রী পদ প্রার্থী নন তিনি একটা রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী ও. তার একটা মর্যাদা আছে. দিদি নিজে মুখ্য মন্ত্রী হয়ে ও সেই মর্যাদা টা রাখলেন না. বাংলার সংস্কৃতির দিক দিয়ে দেখলে এইটা লজ্জাকর ব্যাপার।
আমরা আশা করি আমাদের দিদি মমতা ব্যানার্জী আগে এইরকম মর্যাদাহীন কথা বলে পশ্চিম বঙ্গের লোকেদের লজ্জায় ফেলবেন না. এক যান মুখ্য মন্ত্রী থেকে আমরা একটু সংযত ব্যবহার আশা করি.
জ্যোতি কোঠারী
নরেন্দ্র মোদী বিচার মন্চ,
প্রভারী, পশ্চিম বঙ্গ